অনলাইন ডেস্ক :
রাত জাগলেই শরীরের মারাত্মক ক্ষতি পারে। ফেসবুক, হোয়্যাটসঅ্যাপে গল্প এবং আরও নানা কারণে ক্রমশ বেশি রাতের দিকে ঘুমের প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের একটি প্রকাশনায় বলা হয়, একজন সুস্থ মানুষ প্রতি ৯০ মিনিট পর পর ঘুমের গভীর থেকে গভীরতর ধাপের দিকে যায়। যার মধ্যে সবচেয়ে গভীর ঘুমের সময় মানুষের ফিজিওলজিক্যাল পরিবর্তন আনে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। অনিয়মিত ঘুমের কারণে ঘুমে বিঘ্ন ঘটে, ফলে মানুষ গভীর ঘুমের ধাপ পর্যন্ত যেতেই পারে না। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। অনেকে হয়তো রাতে বারে বারেই জেগে ওঠেন।
কিন্তু তাই বলে ভোরে উঠে অফিস বা স্কুল–কলেজে যাওয়ার সময় তো আর পাল্টে যাচ্ছে না। ফলে কম ঘুমিয়েই ভোরে উঠে ছুটতে হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে। কিন্তু এর ফলে যে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে, সেটা জানেন কি? আসুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক কী কী অসুবিধা হতে পারে।
⇒ আচমকাই বেড়ে যেতে পারে রক্তচাপ। ক্রমে উচ্চ রক্তচাপের অসুখ ক্রনিক হয়ে দাঁড়াতে পারে। আর যদি আগে থেকেই ক্রনিক উচ্চ রক্তচাপ থেকে থাকে, তাহলে সেটা আরও জাঁকিয়ে বসতে পারে শরীরে।
⇒ ওজন বাড়ার অন্যতম বড় কারণ দিনে আট ঘণ্টা ঘুম না হওয়া। ঘুম কম হলে খিদে বাড়ানোর হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিক পরিমাণে খেলেও ওজন বাড়তে থাকে।
⇒ এই হরমোনের কারণেই কম ঘুমোলে ত্বকের ঔজ্বল্য কমে যায়।
⇒ কম ঘুমোলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। সর্দি কাশি হজমের গণ্ডগোল ধরে যায় খুব সহজে। আর একবার হলে সহজে সারে না।
⇒ খুব কম ঘুমোলে প্রজনন ক্ষমতাও কমে যায়।